ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুলের ২ ছাত্রী অপহরণ

মহেশখালী প্রতিনিধি :::
মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুলের ২ ছাত্রীকে অপহরণ করে ৩ দিন ধরে গোপন করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এই দুই ছাত্রীকে অপহরণ করার ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ছোট কুলালপাড়া গ্রাম থেকে এই দুই কিশোরীকে অপহরণ করা হয় বলে সেসব ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ। এনিয়ে গতকাল স্কুলটির কয়েক শ’ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীরা বুকে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ধারণ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র ও অপহৃত ছাত্রীদের পারিবারিক সূত্রের দাবী- মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর কিশোর বয়সের দুই ছাত্রী ২৯ জুলাই বিকেলে নিয়মিত ক্লাস শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। এসময় ফেরার পথে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন খান শিমুল ঐ দুই ছাত্রীকে তার অপর সহযোগীদের মাধ্যমে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে অজানার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় থানায় এ বিষয়ে পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করে ছাত্রীদের পরিবারের পক্ষ থেকে। অপহরণকারী ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় অতি গোপনীয়তার মাধ্যমে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার আশ্বাসের শিমুলের পিতা দুই দিন সময় নিলেও অবশেষে লোকমুখে জানাজানি হয়ে যায়। এ বিষয়ে এক ছাত্রীর পিতা জানান অপহরণের দিন রাত ৭ টায় তার কাছে দুইটি মেয়েই ফোন করে তাদেরকে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে সংবাদ দেয়। একই ফোন থেকে একটি পুরুষকণ্ঠ নিজেকে শিমুল বলে জানান। তখন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব সিরাজ বাঁশির অফিসে শিমুলের পিতা তার ছেলে ও অপর দুই মেয়েকে দুই দিনের ভেতরেই উদ্ধার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। দুই দিন অতিবাহিত হলেও কোনরকম সন্ধান না পাওয়ায় স্কুলটির শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠে। স্কুল প্রধান শিক্ষক আজিজুল করিম দুই ছাত্রীকে উদ্ধারের বিষয়ে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এনিয়ে মহেশখালী থানা অপহরণকারী শিমুলের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে বলেও সূত্রে প্রকাশ। এদিকে সহপাঠী ছাত্রীদের অপহরণ থেকে মুক্তি ও অপহরণকারী মঈন উদ্দিন খান শিমুলের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবীতে আইল্যান্ড হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ২ আগস্ট ক্লাস বর্জন করেন। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান অপহরণকারী শিমুলের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে। উদ্ধার ও গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পাঠকের মতামত: